রাজশাহী শিশু একাডেমির ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

রাজশাহী শিশু একাডেমির ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

রাজশাহী শিশু একাডেমির ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
রাজশাহী শিশু একাডেমির ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী : বাংলাদেশ শিশু একাডেমি রাজশাহীতে দিনব্যাপী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত হয়েছে।

রবিবার দিনব্যাপী রাজশাহী শিশু একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে চিত্রাঙ্কন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী, আলোচনা সভা ও শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়।

আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন অধ্যাপক মলয় ভৌমিক ; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক আফসার আলী (এফসিএমএ) ও রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শিখা সরকার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মরিওম মুঞ্জুরী নিশি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাট্যজন মলয় কুমার ভৌমিক ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন এবং দিবসটির পেছনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বর্ণনা করেন। তিনি বলেন ইউনেস্কো স্বীকৃত ৪১ তম স্মারক বক্তৃতা হলে এটির বিশেষ পার্থক্য রয়েছে ; তিনি বলেন অন্য ৪০ টি ভাষণ-ই লিখিত, পাঠ করা হয়েছে ; শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ-টিই সরাসরি ও তাৎক্ষণিক ; এজন্য এর গুরুত্ব অসীম…ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ৭ মার্চের নয়, এর প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছে বাঙালীর পরাজয়ের ২০০ বছরের বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিপ্লব ও বিপ্লবীদের কথা চিন্তা করে, কেন সে বিপ্লব গুলোতে বাঙালীর জয় আসেনি অথবা ৭ মার্চের পরও স্বাধীন বাংলা পেতে আর কি কি ঘটতে পারে সব কিছু-ই ছিল সেই বক্তব্যে। শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৭ মার্চের বক্তব্য নিয়ে চিত্রাঙ্কন, গান, কবিতা, নাটকের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি এর তাৎপর্য বুঝতে হবে এবং সেই অনুপ্রেরণা ও উপলব্ধি গুলোকে প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিফলিতও করতে হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply